আলীকদমে জব্দকৃত পাথর চুরি হওয়ায় নিলাম স্থগিত

NewsDetails_01

আলীকদমে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জব্দকৃত স্থানে চুরি হওয়ার পর ১০/১৫ ফুট পাথরের মজুদ
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জব্দকৃত পাথর চুরি হয়ে যাবার কারনে বুধবার দুুপুরে এ সংক্রান্ত একটি পূর্বনির্ধারিত নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এই প্রথমবারের মতো এই ধরণের ঘটনা ঘটনায় বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। নিলাম স্থগিত ঘোষণা করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানিয়েছেন ইউএনও।
জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট আলীকদমের ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তৈনখাল সংলগ্ন লাইক্যার ঝিরির পাশে ৪ হাজার ২শ’ ঘনফুট পাথর জব্দ করেন। জব্দকালে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চারজন হেডম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পাথরগুলি সরকারি ‘অনুমতি’ ছাড়া মজুত করা হয়েছিল। জব্দের পর জেলা প্রশাসনের ‘অনুমতি’ নিয়ে পাথর নিলাম দেওয়ার জন্য গত ৪ অক্টোবর ইউএনও’র স্বাক্ষরিত ‘নিলাম বিজ্ঞপ্তি’ জারী করা হয়। বুধবার (১১ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদ হলরূমে প্রকাশ্য নিলামের দিন ধার্য্য ছিল।
স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিলামের আগে জানান, সংশ্লিষ্ট স্থানে পরিমাণমত পাথর নেই। ১০/১৫ ফুট পাথর রয়েছে সেখানে। পরে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ইউএনও নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করেন।
আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী স্ইাদুর রহমান জানান, ‘এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনই সিদ্ধান্ত নিবেন পরবর্তী পদক্ষেপ কি নেওয়া হবে।’।
আলীকদম মৌজার হেডম্যান অংহ্লাচিং মার্মা জানান, ‘আমি সার্ভেয়ারসহ সরেজমিন গিয়ে সেখানে পরিমাণমত পাথর দেখতে পাইনি’। ১০/১৫ ফুট পাথর রয়েছে মাত্র। স্থানীয়রা জব্দকৃত পাথর ‘হাওয়া’ হয়ে যাওয়ার বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে লামা ও আলীকদম উপজেলার পাহাড়, ঝিড়ি থেকে অবাধে অবৈধ পাথর উত্তোলন করে প্রভাবশালীরা। আর এসব পাথর চড়া দামে জেলার বাইরে পাচার করা হয়।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তিনি জানার পর পাথর নিলাম স্থগিত করেছেন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন