অবিলম্বে পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র উদ্ধার করা হোক : বান্দরবান আ:লীগের সভায় বীর বাহাদুর

NewsDetails_01

বান্দরবান আ:লীগের  বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
বান্দরবান আ:লীগের বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পার্বত্য এলাকার মানুষের শান্তি প্রতিষ্টার জন্য পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছিলেন কিন্তু আজ যদি বলা হয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কারনে আমার এলাকার মানুষ ঘুমাতে পারছে না, তা হলে আমার এমপি গিরি করার অধিকার নাই। সরকারী গোয়েন্দা বিভাগ আছে, আমি বলি অবিলম্বে পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের এই অস্ত্র উদ্ধার করা হোক। শুক্রবার রাতে শহরের কেএসআই মিলনায়তনে বান্দরবান আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় সভার প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি একথা বলেন।
শুক্রবার শহরের কেএসআই মিলনায়তনে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা’র সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। সকাল দশটায় শুরু হওয়া এই বিশেষ বর্ধিত সভা দুপুর সাড়ে বারটায় বিরতির পর আবারো শুরু হয় দুপুর আড়াইটার দিকে।
প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি সভায় আরো বলেন,পাহাড়ে শান্তি বিনষ্ট করা জনসংহতি ও জামাতকে আমরা আওয়ামীলীগ কর্মীরা কঠিন ভাবে মোকাবেলা করবো। এসময় বীর বাহাদুর পাহাড়ের মানুষের প্রতি জননেত্রী শেখ হাসিনার ভালবাসার কথা বলতে গিয়ে বলেন, “শেখ হাসিনা আমাকে বললেন, বীর আমি পিতা মাতা সব হারিয়েছি আমি বুঝি মানুষের টান কি, আমি তোমার এলাকার মানুষের জন্য আমি সর্বোচ্ছ চেষ্টা করে যাব। তিনি (শেখ হাসিনা) করে যাচ্ছেন। ব্রিজের আর দুরত্বের জন্য থানছির মানুষ সহজে যেতে পারতনা কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাতির পিতার কন্যা থানছিতে গেছেন আপনাদের টানে”।
সভায় জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে ৬ টি সহযোগী সংগঠন এর প্রতিটি থেকে পাঁচ জন করে এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি থেকে সিনিয়র পাঁচ জন মোট ৩৫ জন করে জেলার ৭ উপজেলা, ২টি পৌরসভা ও শহর আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন। উপজেলার সহযোগী সংগঠন ও ইউনিয়ন সমূহ থেকে একজন আওয়ামীলীগ নেতা বক্তব্য রাখেন এবং আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানরা বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তাদের বক্তব্যে উল্লেখিত তিনটি দাবীর পক্ষে জোরালো দাবী উঠে বর্ধিত সভায়।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠা আবু মুছা ফারুকী,জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান, সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, এ কে এম জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লক্ষিপদ দাসসহ জেলার সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের আগামী সম্মেলনের পর জেলার প্রতিটি উপজেলায় ভোটের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হবে। এরপরেই ভোটে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে।

আরও পড়ুন