নির্মানের দীর্ঘ ২০ বছর পর অবশেষে আলোর মুখ দেখলো বান্দরবানের থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আর এর মধ্যে দিয়ে জেলার দূর্গম এই উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তি আরো একধাপ এগিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার দূর্গম উপজেলা হিসাবে পরিচিত উপজেলাটিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করে কিন্ত দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও পানির সংকট, আবাসিক সমস্যাসহ নানা কারণে হাসপাতালটি এতদিন পুরোপুরি চালু করা যায়নি। বহিঃবিভাগ চালু থাকলেও বন্ধ ছিল এর আন্তঃবিভাগ। যে কয়েকজন চিকিৎসক নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীরা দায়িত্বরত ছিলেন তারা মাসের শেষে গিয়ে বেতন নিতেন। ফলে রোগীরা মূলত চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য চলে আসতেন উপজেলাটি থেকে।
আরো জানা গেছে, ৩১ শয্যাবিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে স্বাস্থ্য সেবা পুরোপুরি চালু করতে হাসপাতালটির আন্তঃবিভাগ (ইনডোর) চালুর পাশাপাশি দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ। এমনকি চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থাও সম্পন্ন হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি গত শনিবার হাসপাতালটির নতুন এ আন্তঃবিভাগের উদ্ভোধন করেন। হাসপাতালটির দুটি রুমে পুরুষ ও মহিলা রোগীদের জন্য রয়েছে ৩১টি বেডের ব্যবস্থা।
এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা চহ্লা মার্মা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালু হবার কারনে এবার আমরা স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারবো, আগে কোন রোগ হলেই বান্দরবানে যেতে হতো।
হাসপাতালটির কার্যক্রম বছরের পর বন্ধ থাকায় এখানকার রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে ৮০ কিলোমিটার দূরের জেলা শহর বান্দরবানে আসতে হতো। থানচির সাঙ্গু নদীতে সেতু নির্মানের কারনে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিসহ উপজেলাটিতে স্বাধীনতার পর চলতি বছর বিদ্যুৎ সেবা চালু হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চালু হলো আন্তঃবিভাগ, যার ফলে এখন থেকে স্বাস্থ্য সেবা পাবে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. অংশৈ প্রু মারমা বলেন, এখন থানছি হাসপাতালে ৫ জন চিকিৎসক ও ৭ জন নার্স রয়েছেন। বহিঃবিভাগের পাশাপাশি আন্তঃবিভাগও পুরোপুরি চালু হয়েছে। আরো কোন সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করে স্থানীয়দের স্বাস্থ্য সেবা পুরোপুরি নিশ্চিত করা হবে।