শিক্ষক বটে !

NewsDetails_01

pic-08-09-16বান্দরবানের লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৬ এ শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিলেও শিক্ষক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন না করে মনগড়া নম্বর দিয়ে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, গত জুন মাসে অনুষ্ঠিত লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা ২০১৬ এ ক-খ শাখা মিলে ১৪০ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু উক্ত বিষয়ের বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নুরুল ইসলাম ফরিদ কোন খাতা না কেটে মনগড়া ১৪০ ছাত্র-ছাত্রীকে নম্বর দিয়ে নম্বর ফর্দ জমা দেন। প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার খাতা স্ব-স্ব ক্লাসে পুন যাচায়ের জন্য শিক্ষার্থীকে দেখতে বললে বিষয়টি জানাজানি হয়। এই ব্যাপারে শিক্ষক নুরুল ইসলাম ফরিদকে মুঠোফোনে কল করলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসাইন বলেন,বিষয়টি আমি জানতে পেরে পরীক্ষার খাতা গুলো জব্দ করে ইউএনও, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়েছি,বিষয়টি গুরুতর অন্যায় হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই, মূল্যায়ন, প্রাক প্রস্তুতি, সিলেবাসের ধারাবাহিকতা ও অগ্রগতি মান নির্ণয়ের জন্য অর্ধবার্ষিক বা প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু মেধা যাচায়ের জন্য অনুষ্ঠিত অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার খাতা না কেটে মনগড়া নম্বর দিয়ে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন। পরীক্ষার খাতা কেটে যদি মান যাচাই না করা হয় তাহলে পরীক্ষার কি প্রয়োজন আছে বলে জানায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি, এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন