জানা গেছে, বুধবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লিপিকা চৌধুরী ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর ৫ শিক্ষার্থী দিয়ে বিদ্যালয়ে টয়লেট ও ট্যাংক পরিস্কার করায়। পরে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ফিরে গেলে বমি ও পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। পরে রাত ৯ টার দিকে ৫ জনের মধ্যে ৪ শিক্ষার্থীর অবস্থা অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনেরা।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবক রফিকুল ইসলাম ও মো. তারেক বলেন, কোমলমতি শিশুদের দিয়ে ট্যাংক পরিস্কার করানো খুব অন্যায় হয়েছে। তাছাড়া বিদ্যালয়ে এইসব কাজ করানোর জন্য সরকারের বরাদ্দ রয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে টয়লেট পরিস্কার করে বরাদ্দকৃত টাকা পকটস্থ করেন প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মংচাথুই মার্মা বলেন, শিক্ষকরা আমাকে বললে প্রয়োজনে আমি নিজের পকেটের টাকা দিয়ে পরিস্কার করে দিতাম, কাজটা ভাল হয়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লিপিকা চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দিয়ে টয়লেটের ট্যাংক পরিস্কার করানো হয়নি। শুধুমাত্র পানি মেরে টয়লেট পরিস্কার করা হয়েছে। তাছাড়া আমি সহ তাদের সাথে কাজ করেছি, আমি অসুস্থ হয়নি। বাচ্চারা অসুস্থ হয়েছে আমি জানিনা। এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
এদিকে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. কায়সার জানান, শিক্ষার্থীদের অবস্থা ভাল না হওয়ায় ভর্তি দেয়া হয়েছে।
লামা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যতীন্দ্র মোহন মন্ডল বলেন, আমি সংবাদ শুনে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে বাচ্চাদের দেখে এসেছি। তাদের যাবতীয় চিকিৎসা করানোর জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মংচাথুই মার্মাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
