লামায় দুই কৃষকের ৭০০ ফলজ গাছ কেটে জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ

NewsDetails_01

লামায় দুই কৃষকের ফলজ গাছ কেটে জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ
বান্দরবানের লামায় প্রতিপক্ষ কর্তৃক দুই কৃষকের ৭০০টি কলা ও আম গাছ কেটে জায়গা জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি বনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে কৃষকরা দাবী করেছেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ক্যচিং ম্রো ও হরিচন্দ্র ত্রিপুরা প্রতিকার চেয়ে বুধবার বিকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ হোসেন মামুনকে অভিযুক্ত করে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট মৌজা হেডম্যান একই জায়গার ওপর দুই জনকে হেডম্যান রিপোর্ট প্রদানের কারণে এলাকায় ভুমি বিরোধ বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, লামা উপজেলার ২৮৬নং ফাঁসিয়াখালী মৌজার জি/১১২নং হোল্ডিং মূলে ৫একর পাহাড়ি জায়গা বন্দোবস্তি প্রাপ্ত হয়ে বহু শ্রম ও অর্থ ব্যয়ে বিভিন্ন প্রজাতির বাগান সৃজন করেন রাজা পাড়ার কৃষক ক্যচিং ম্রো। সম্প্রতি ওই জায়গা পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদ হোসেন মামুন দাবী করে বিভিন্ন সময় দখলে নিতে অপচেষ্টা চালায়। এতে পেরে না ওঠে এক পর্যায়ে গত ১২ মে সকালে মোহাম্মদ হোসেন মামুনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে বাগানের ৩০০টি কলা ও ৫০টি আম গাছ কেটে দেয়। এতে কৃষকের প্রায় ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। একই দিন একই ভাবে রামগতি পাড়ার কৃষক হরিচন্দ্র ত্রিপুরার সৃজিত বাগানের ৩৫০টি কলা গাছও কেটে দেয় তারা। এতেও প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় কৃষকের। এ সময় প্রতিবাদ করলে মোহাম্মদ হোসেন মামুন ও তার লোকজন কৃষকদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদর্শন করেন।
তবে অভিযুক্ত মোহাম্মদ হোসেন মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সীমানা বিরোধের জের ধরে গাছ কাটার ঘটনা সাজানো হয়েছে। এটি সম্পুর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
বুধবার বিকালে লামা প্রেসক্লাবে ক্ষতিগ্রস্ত দুই কৃষক সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট মৌজা হেডম্যান থংপ্রে ম্রো যাচাই বাছাই না করে একজনের দখলীয় জায়গার ওপর পূণরায় আরেকজনকে হেডম্যান রিপোর্ট প্রদান করার কারণে এলাকায় ভুমি বিরোধ বেড়ে চলেছে। তারা এ ব্যাপারে বোমাং রাজাসহ প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন