বান্দরবানে ১৭ আগষ্ট থেকে শুরু “আঁখি ও তার বন্ধুরা” চলচ্চিত্রের শুটিং

NewsDetails_01

আঁখি ও তার বন্ধুরা চলচ্চিত্রের শুটিং এর একটি দৃশ্য
শিশুতোষ চলচ্চিত্র “আঁখি ও তার বন্ধুরা” এর শুটিং হবে বান্দরবানের সাঙ্গুনদীর তীরের লোকেশনে। সরকারী অনুদানে জনপ্রিয় লেখক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মান করছেন ছবির প্রযোজক ও পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম।
এ ছবির অন্যতম চরিত্রে দেখা যাবে নন্দিত অভিনয় শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফাকে। আর ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র আঁখি হিসেবে থাকবে শিশুশিল্পী ইশা। এতে বেশ কয়েকজন শিশুশিল্পীসহ আরও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান ও আল মনসুর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ ও ১৮ আগষ্ট দুইদিন বান্দরবান শহরের বড়ইতলী পাড়াস্থ সাঙ্গুনদীর তীরে বিকাল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই চলচ্চিত্রটি নির্মানে নান্দনিক দৃশ্যা ধারণ করা হবে। মুক্তিযুদ্ধে শিশু কিশোরদের ভূমিকা নিয়ে শিশুতোষ চলচ্চিত্র “আঁখি ও তার বন্ধুরা” নির্মান করা হচ্ছে, চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য শিশু-কিশোর অভিনেতা সংগ্রহ করা হয় ইতিপূর্বে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্র পাহাড়বার্তাকে বলেন, “আঁখি ও তার বন্ধুরা” এর শুটিং করার সময় ঢামি অস্ত্র ব্যবহার এবং প্রশাসনিক সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসন বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
আরো জানা গেছে, ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে তৈরি “আমার বন্ধু রাশেদ” চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন মোরশেদুল ইসলাম, যা শিশু-কিশোরদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত একই নামের শিশুতোষ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন মোরশেদুল ইসলাম। ১৯৭১ সালে মফস্বল শহরের কয়েকজন কিশোর কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, তারই কিছু চিত্র ফুঁটে উঠেছে গল্পে।
ফের জনপ্রিয় লেখক ড. জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হতে যাচ্ছে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’। এই চলচ্চিত্রটিও সরকারী অনুদান পায়। ছবিটির চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মোরশেদুল ইসলাম ও মারুফ বরকত। পরিচালনা করবেন নন্দিত নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম।
এই ব্যাপারে সময় টেলিভিশনের বান্দরবান প্রতিনিধি এস বাসু দাশ পাহাড়বার্তাকে বলেন, মোরশেদুল ইসলাম ভাইয়ের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ শুটিং এর জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকার ৭টি ছবিকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অনুদানপ্রাপ্ত ছবিগুলো হলো, বদরুল আনাম সৌদের ‘গহীন বালুচর’, স্বপন চৌধুরীর ‘বৃদ্ধাশ্রম’, কাউসার চৌধুরীর ‘বধ্যভূমিতে একদিন’, পান্থ প্রসাদের ‘সাবিত্রী’ এবং কামার আহমেদ সাইমনের সাড়া জাগানো চিত্রনাট্য ‘শঙ্খধ্বনি’, ‘দেবী’, ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ এবং ‘শঙ্খধ্বনি’। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছে মোট ১২টি চলচ্চিত্র, যার মধ্যে সাতটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে মোরশেদুল ইসলাম কিশোর চলচ্চিত্র দীপু নাম্বার টু (১৯৯৬) এবং খেলাঘর (২০০৬) নামে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। দীপু নাম্বার টু ১৯৯৬ সালে ৩টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

আরও পড়ুন