বান্দরবানে জমে উঠছে ঈদ বাজার

NewsDetails_01

বান্দরবানের বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতা উপস্থিতি
রমজানের শেষের দিকে এসে বান্দরবানে জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা, বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতা উপস্থিতি আর বেচা-বিক্রিতে সন্তোষ প্রকাশ করলে ও বেশ কিছু দোকানে ক্রেতা না থাকায় হতাশ বিক্রেতা। ঈদের আগের বাকি দিনগুলোতেও এভাবে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তারা।
সকাল থেকেই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বান্দরবান বাজারের পৌর শপিং কমপ্লেক্স, হক হিল টাওয়ার,ফোর স্টার শপিং কমপ্লেক্স, চৌধুরী মার্কেট, ক্যা এস প্রæ মার্কেট,দূর্গা মন্দির মার্কেট, ঝুমুর মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণিবিতান। দিনভর বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় পার করেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
জেলা শহরের দূর্গা মন্দির মার্কেটের সামি শপিং মল’র ব্যবস্থাপক দিদার বলেন, রমজান শুরুর পর থেকে শুক্রবার-শনিবারেই বেশি ক্রেতা পেয়েছেন তারা। অন্যান্য বছরে ঈদে তো ৪-৫ রোজা থেকেই ধুমছে কাস্টমার আসতে থাকে, বিক্রিও হয় ভালো। কিন্তু এবার টানা বর্ষণের করনে বান্দরবানের বিভিন্ন স্থান বন্যায় প্লাবিত হওয়ার কারণে বিক্রয় আগের তুলনায় অনেকটা কম।
‘সামি শপিং কমপ্লেক্সের দোকানগুলো সাজানো হয়েছে নানা কাপড় আর নকশার মেয়েদের পোশাকে। “ এবার ও ইন্ডিয়ান “ছায়া” নামের মেয়েদের পোশাক কালেকশনই বেশি চলছে,” বলেন দিদার।
এই বিপণিবিতানের ড্রেস পার্কের ব্যবস্থাপক নুরুল আলম বলেন, আমাদের নতুন দোকান হিসেবে বিক্রিতে আমরা বেশ খুশি ।
মেমোরী টাইলাসের পরিচালক আবু কালাম বলেন“গত ঈদের তুলনায় এবার কাস্টমার নেই। সবাই গার্মেন্টস পোশাকের দিকে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছে। যার ফলে এবার চিন্তায় আছি কি করে কর্মচারীদের বেতন দিব।
সামি ফ্যাশনের ব্যবস্থাপক দীপক চৌধুরী জানান“এত দিন যা বিক্রি হইছে, তা গত ঈদের তুলনায় অনেক কম। আজ অনেক ক্রেতা এসেছে, ভিড়ও অনেক বেশি, বিক্রিও হচ্ছে বেশি।”
হক হিল টাওয়ারের মেয়েদের পোশাকের দোকান জত্রিতা বুটিস এর বিক্রয়কর্মী ওমর ফারুক জিহাদ বলেন, “রোজার শুরু পর যত ক্রেতা এসেছে, আজকে মনে হয় তারচেয়ে বেশি এসেছে। কিন্তু সে তুলনায় এতটা বিক্রি হয়নি।”
ঈদের কেনাকাটা করতে আসা শিক্ষার্থী আজিজুল বলেন, “ গত বছরের চেয়ে এবারে বাজারের ভালো পোষাক আছে। তাই আগে থেকে চলে আসলাম যাতে নতুন ভালো পোশাকটা নিতে পারি।
পৌর শপিং কমপ্লেক্সে কেনাকাটা করা নিউগুলশানের গৃহিনী শারমিন আক্তার বলেন, “স্বামীর বেতন হয়েছে, তাই রোজায় আজ প্রথম মার্কেটে আসলাম। বাচ্চাদের কেনাকাটা শেষ করেছি, আমাদেরটা পরে করব।
কিছু কিছু দোকানে বা মার্কেটে দিনভর ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। দুপুর থেকেই দীর্ঘ লাইন ধরে মার্কেটে ঢুকতে হয় তাদের। অন্যদিকে বেশ কিচু দোকানদারের মালিকরা হতাশ ক্রেতা নেই কি করে কর্মীর বেতন দিবেন তারা এমন টা বলেছেন নীলাচল গার্মেন্টসের বিক্রয় কর্মী। বাজারে সব বয়সী ক্রেতার পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে মার্কেটের বিভিন্ন ফ্লোর। তবে সবচেয়ে বেশি ভীড় দেখা গেছে পোশাকের দোকানে, এর বাইরে জুতা, প্রসাধনী ও অলঙ্কার ।
মার্কেটের শাড়ির দোকান বসুন্ধারা ফ্যাশন হাউজের বিক্রয় কর্মী বলেন,“এতদিন তো আমরা কাস্টমারই পাইনি, এখন অনেকে আসছে, দেখছে। তবে অনেক কাস্টমার আসলেও কিনছে কম সংখ্যক।“আমাদের কাতান শাড়ির চাহিদাই এবার সবচেয়ে বেশি। এই বিপণিবিতানের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলোতেও ছিল ক্রেতাদের ভিড়।
বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জসিম রেজা বলেন, “এত দিন কাজের চাপ ও আবহাওয়ার কারণে ঈদের কেনাকাটা করতে পারিনি, মার্কেটে আসলাম পরিবার নিয়ে।”
বান্দরবানে কিছু দোকানে ঈদ বাজার জমে উঠলে ও বেশ কিছু দোকানে ক্রেতা না থাকায় হতাশ বিক্রেতা। তবে শেষ সময়ে জমে উঠবে ঈদ বাজার এমনটা মনে করছে সবাই।

আরও পড়ুন