বান্দরবানের ১৪০তম ঐতিহ্যবাহী রাজ পূন্যাহ ২১ ডিসেম্বর

NewsDetails_01

বান্দরবানে বোমাংরাজা উ চ প্রু চৌধুরী
বান্দরবান পার্বত্য জেলার রাজকর আদায়ের উৎসব ১৪০তম রাজ পূন্যাহ মেলা আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্টিত হবে। আর মেলাকে ঘিরে জোরদার করা হবে জেলা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রাজ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের স্থানীয় রাজার মাঠে আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপি শুরু হচ্ছে এই মেলা। নিরাপত্তা জনিত কারনে গত বছরের মতো এবারও মেলাকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামরা (সিসি ক্যামরা) র আওতায় নিয়ে আসবে পুলিশ প্রশাসন।
উক্ত মেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী যোগ দেবার কথা রয়েছে। মেলাকে ঘিরে জেলার ১১টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য মন্ডিত মনোজ্ঞ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ সময় পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মিলন মেলা পরিণত হয়, দেশি- বিদেশী পর্যটকরা ভীর জমায় পর্যটন শহর বান্দরবানে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রবীণ নেতা হিসাবে রাজার আর্শিবাদ পাওয়ার জন্য দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে পাহাড়ীরা রাজ দরবারে এসে ভীর জমান।
বান্দরবানের বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরীর সহকারী অং ঝাই পাহাড়বার্তাকে ফোনে বলেন, চলতি বছরের রাজ পূন্যাহ আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্টিত হবে, এই ব্যাপারে সংবাদ সন্মেলন করে সবাইকে অবহিত করা হবে।
বোমাং রাজ পরিবার সূত্র জানায়, বৃটিশ শাসন আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলাকে তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করে খাজনা আদায় করা হতো। ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত চাকমা রাজা পার্বত্য এলাকা শাসন করতো। ১৮৬৭ সালে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অঞ্চলের মারমা অধ্যুষিত এলাকাকে বোমাং সার্কেল, ১৮৭০ সালে রামগড় ও মাইনি উপত্যকার এলাকাকে নিয়ে মং সার্কেল গঠিত হয়।
আরো জানা যায়, বর্তমানে রাঙ্গামাটিকে চাকমা সার্কেল, বান্দরবানকে বোমাং সার্কেল এবং খাগড়াছড়িকে মং সার্কেল হিসাবে গণ্য করা হয়। প্রায় ১৭৬৪ বর্গমাইল এলাকার বান্দরবানের ৯৫টি, রাঙামাটির রাজস্থলি ও কাপ্তাই উপজেলার ১৪টি মৌজা নিয়ে বান্দরবান বোমাং সার্কেল। দুইশত বছরের ঐতির্য্য অনুসারে বছরে একবার এই মেলা আয়োজন করা হয় বোমাং সার্কেলের পক্ষ থেকে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পাহাড়বার্তাকে বলেন, রাজপূন্যাহ মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রস্তুত আছি আমরা, এবারও শান্তিপূর্ন ভাবে মেলার আয়োজন হবে।
প্রসঙ্গত,বান্দরবানের রাজ পূন্যাহ মেলা জমজমাট ভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে প্রতিবছর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আর্থিক অনুদান প্রদান করে বোমাং রাজাকে, এবারও অনুদান দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন