সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে মার্জিনা’ই বান্দরবানের মনজিয়ারা পারভিন কিনা এটা নিশ্চিত হতে সিলেট পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বান্দরবান জেলা পুলিশকে বার্তা পাঠানো হয়। আর এ বার্তা পেয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশ মনজিয়ারা পারভিনের পরিবারের দুই সদস্যকে সিলেট পুলিশের কাছে পাঠানোর উদ্দ্যেগ গ্রহন করে।
নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী তদন্ত্র কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক আবু মুসা বলেন,উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে মানজিয়ারার পরিবারের সদস্যকে সিলেট পাঠানো হবে।
আরো জানা গেছে, জঙ্গী জুবাইরা ইয়াসমিন এবং মনজিয়ারা পারভিন এর পিতা নুরুল ইসলাম ও বড় ভাই জিয়াবুল হক দুপুর দুইটার দিকে সিলেটের উদ্দ্যেশে বান্দরবান ত্যাগ করবেন। তারা সিলেট পৌছে সিলেটের দক্ষিন সুরমার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলে নিহত জঙ্গি মর্জিনা তাদের পরিবারের সদস্য কিনা সেটি নিশ্চিত করবেন।
এই ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রশাসনের এডিসি শাহেদুল ইসলাম জানান, মনজিয়ারা পারভিন মর্জিনা কিনা সেই ব্যাপারে ব্যাপক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় পরিচয় পত্রের সূত্রে জানা যায়, মনজিয়ার বেগম, জন্ম ১৯৯৩ সালের ৩ এপ্রিল, তার পিতার নাম নুরল আমিন, মাতার নাম সাবেকুর নাহার। তিনি মাত্র ২য় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংচড়ির ২৭৮ নং বাইশারী মৌজার অংশ ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, নিহত মর্জিনা মনজিয়ারা কিনা তার লাশ ও পোষাক দেখে নিশ্চিত হতে মনজিয়ারার পরিবারের দুই সদস্যকে সিলেট পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জঙ্গি জুবাইরা ইয়াসমিন ও কামালের পরিবারের একাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ থাকায় ক্ষোধ স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করার কারনে উপজেলাটিতে গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং স্থানীয়দের তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।
