নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের উখিয়ায় স্থানান্তর শুরু

NewsDetails_01

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অন্তত ১০ হাজার রোহিঙ্গা। উপজেলা সদর, বাইশারী, ঘুমধুম, দৌছড়ি, সোনাইছড়ির বিভিন্ন গ্রামে ভাড়া বাসা সহ আত্বীয়-স্বজনদের বাড়ীতে এদের অবস্থান।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ঘিলাতলি এলাকার জুবাইর কলৌনি, বিচামারার হাতেম আলী কলৌনি, মসজিদ ঘোনার তাহের কলোনি ও সদরের মোস্তাক আহমদের কলোনি সহ বাগানঘোনা, ঠান্ডা ঝিরি, চাকঢালা, আশারতলি, সালামিপাড়া, কম্বনিয়া, বিচামারা এলাকায় আত্বীয়-স্বজনদের বাসায় হাজারো রোহিঙ্গারা অবস্থান নিয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে সদ্য অনুপ্রবেশ করা বেশ কিছু রোহিঙ্গা পরিবারকে উখিয়ায় স্থানান্তর করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, প্রথমে মাইকিং করে তাদের উখিয়ায় সরে যেতে বলা হয়েছে, পরে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।সোমবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন উত্তর ঘুমধুম এলাকায় এই অভিযান শুরু করে। ঘুমধুমের পাহাড় পাড়া, তেবুনিয়া বাজারের পার্শ্ববর্তী এলাকা ও রাবার বাগান এলাকার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা পরিবারদের ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ পাহারায় উচ্ছেদ করা হয়। সেখান থেকে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা পরিবারকে সরিয়ে উখিয়া উপজেলার বালুখালী, তাইংখালী আশ্রয় শিবির ও কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান, অনুপ্রবেশ করা এসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দেওয়ার জন্য ভাড়া বাসার মালিকদের অবগতিসহ পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরওয়ার কামাল জানান,রোহিঙ্গা পরিবারগুলো এখন জিরো লাইনে বসবাস করছে। তবে যারা ঢুকে গেছে তারা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করছিল। উত্তর ঘুমধুমে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের সরিয়ে উখিয়ার আশ্রয় শিবিরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রবিবার সেখানে মাইকিং করা হয়। ত্রাণ সরবরাহ ও অন্যান্য কাজে সুবিধার জন্যই তাদের সরিয়ে উখিয়ায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্টের পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের জিরো লাইনে অর্ধ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা অবস্থান নিয়েছে। তাদের পর্যায় ক্রমে উখিয়ায় সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক দিলিপ কুমার বণিক।

আরও পড়ুন