থানায় অভিযোগ করায় লামায় ফের বসতঘরে হামলা : আহত ৪

NewsDetails_01

থানায় অভিযোগ করায় ফের প্রতিপক্ষের হামলায় এক পরিবারের নারী শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, এসময় হামলাকারীরা বসতঘর ও দোকানে লুটপাট চালিয়ে নগদ টাকাসহ লক্ষাধিক টাকার মোবাইল সেট লুট করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন- খালিদ সাইফুল্লাহ (১), সালমা আক্তার (২৫), মোখলেছুর রহমান (১৭) ও বাবুল মৃধা (৫৫)। উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের ক্যাম্প বাজার এলাকায় পৃথক এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল রবিবার দিবাগত রাত ১২টায় ক্যাম্প বাজারের ছারোয়ার পাড়ার বাসিন্দা সালমা আক্তারের বাড়িতে ১৫-২০জনের সংঘবদ্ধ দল সন্ত্রাসী হামলা করে। এ সময় তারা বসতঘর লুটপাটসহ এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানি করে। পরদিন এ ঘটনায় লামা থানায় অভিযোগ করলে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ফের গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা দিকে ফের হামলা চালায়। এতে শিশুসহ ৪ জন আহত হয়।
হামলার শিকার বাবুল মৃধা জানায়, মঙ্গলবার কয়েকটি ব্রিকফিল্ডে লাকড়ি বিক্রয় করে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাই। এই টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ক্যাম্প বাজার পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালায় এবং আমাকে মারধর করে টাকা নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসীরা আমার মেয়ে বাড়িতে গিয়ে মেয়ে ও নাতিকেও মারধর করে। এ সময় আমার মেয়ের দেবর আল মামুন মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারন করতে গেলে তাকেও মারধর করে সন্ত্রাসীরা।
তিনি আরও জানান, ক্যাম্প বাজার ও চিউনী পাড়া এলাকার মো. সিরাজ, রমজান আলী, ছিদ্দিক মাষ্টার এর হুকুমে শহীদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর, জয়নাল আবেদীন, জাকির হোসেন, ওবাইদুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, হাসেম আলী, রফিকুল ইসলাম, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. ইউনুছ ও আব্দুল ছোবাহানসহ আরো অজ্ঞাত ৪-৫জন হামলা চালায়। তবে হামলার বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন অভিযুক্তরা।
দোকানের মালিক আল মামুন বলেন, অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে দোকান থেকে নগদ ২২ হাজার টাকা ও ১২টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল সেট নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা। এসময় তারা দোকানের ফার্নিচার ও কম্পিউটার ভাংচুর করে ৬৭ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। আমার ভাই মোখলেচুর রহমান বাধা দিলে তাকেও মারধর করে সন্ত্রাসীরা।
এই বিষয়ে আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
এদিকে আজিজনগর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মো. লেয়াকত আলী বলেন, হামলার স্বীকার ব্যক্তিদেরকে আইনী প্রতিকারের জন্য লামা থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন