চাঁদাবাজি,খুন, অপহরণ বন্ধের দাবিতে বান্দরবানে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন

NewsDetails_01

পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) এর চাঁদাবাজী ও অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদের বান্দরবানের লামা, আলীকদম ও চকরিয়া সড়কে অবরোধ ও বান্দরবান শহরে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,জেলার রোয়াংছড়িতে জেএসএস সন্ত্রাসী কর্তৃক মোসলেম ও আওয়ামী লীগ নেতা মংপ্রু মার্মা খুনের বিচার, চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে লামা,আলীকদম ও চকরিয়া সড়কে শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচী পালন করছে স্থানীয় বাঙ্গালী ও ম্রো সম্প্রদায়।
সড়কগুলোর ইয়াংছা, লাইনঝিরি, কেয়াজুপাড়া বাজার, ডিসি রোড, সাপমারা ঝিরি, সরই ইউনিয়নের হাসনাভিটা, কিল্লাখোলা পয়েন্টে সড়কের ওপর গাড়ির চাকা খুলে রেখে এ অবরোধ কর্মসূচী পালন করে পিকেটাররা। এসময় সড়কগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অবরোধের কারনে এসব সড়কে যাতায়াতকারী লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়ে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আরো জানা গেছে, জেলার আলীকদম ম্রো ছাত্রাবাসের পরিচালক ইয়ংলক ম্রো বাঙালি বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এই অবরোধ কর্মসূচীর ডাক দেয়।
জেলার লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অবরোধ চলাকালীন সময় সড়কগুলোতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিকে পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের বেপোরোয়া চাঁদাবাজি এবং সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বান্দরবান শহরে মানববন্ধন করেছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ নামে একটি সংগঠন। শনিবার বিকেলে বান্দরবান শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চের সামনে এ মানববন্ধন করেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
এ সময় পার্বত্য নাগরিক পরিষদের মুহাম্মদ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্তে¡ বক্তব্য রাখেন বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদের সদস্য ফরহাদুল ইসলাম জুয়েল, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের মহিলা সম্পাদিকা খোরশিদা আমিন, আহ্বায়ক সায়দুল আমিন বক্তব্য রাখেন।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের জেলা সভাপতি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, পাহাড়ে চাঁদাবাজি, খুন, গুম, অপহরণ বন্ধ না হলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, পূর্ব নির্ধারিত কোন কর্মসূচী ছাড়াই শনিবার লামা,আলীকদম ও চকরিয়া সড়কে অবরোধ ও জেলা শহরে মানববন্ধন করে সংগঠনগুলো।

আরও পড়ুন