অসহায় রোহিঙ্গাদের গরুর ক্রেতা যখন মেম্বার চেয়ারম্যানরা !

NewsDetails_01

বান্দরবানের সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা এখন গরু ব্যবসায় জড়িত। সীমান্তে বিভিন্ন পয়েন্টে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা আসার সময় যারা পেরেছে তাদের সম্বল হিসেবে নিয়ে এসেছে একটি বা দুটি করে গরু। আর এসব গরুগুলো সহজমূল্যে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে স্থানীয় মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিসহ অনেকে। রবিবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাসিক আইনশৃংখলা সভায় এসব নতুন গরু ক্রেতার নাম উঠে আসে সকলের সামনে।
এসময় সম্প্রতি বান্দরবানের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু ও ঘনধুম সীমান্ত থেকে ঘুরে আসা বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক উপস্থিত সকলের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত, রোহিঙ্গাদের এমন পরিস্থিতিতে মেম্বাররা কি করে নামমাত্র মূল্যে গরু কিনে ব্যবসা করছে।যখন অসহায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আমাদের দেশে আশ্রয় নিচ্ছে ঠিক সেই সময়ে এক শ্রেণীর দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে বিভিন্ন অসাধুপন্থা অবলম্বন করে তাদের প্রতারিত করছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, শুধু গরু নয়, অনেক দালাল সেখানে সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের ক্ষতি করছে। তিনি এসময় রোহিঙ্গাদের সাথে প্রতারনাকারী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তি প্রদানের দাবি করেন।
সভায় জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন,সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সাথে মানবিকতা প্রদান করা আমাদের এই মুহুর্তের প্রধান কাজ ,তাদের জানমাল রক্ষা করা ও আমাদের দায়িত্ব।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, আমরা বান্দরবান জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ সর্তকতা নিশ্চিত করেছি, ইতিমধ্যে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার’রা দায়িত্ব পালন করছে এবং পুলিশের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন,সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে সৃষ্ট বিভিন্ন দালাল শ্রেণীর লোকদের ব্যাপারে আমরা অবগত হয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে, কেউ রোহিঙ্গাদের সাথে প্রতারণা বা কোন অসামাজিক কাজে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন